চাইলাম মেডিক্যাল কলেজ ! পাইলাম টেক্সটাইল কলেজ”?।
সৈয়দ আব্দুল গফ্ফার সাজু,
সমগ্র বিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারী করাল গ্রাসে দিশেহারা। আমার অবস্থান শহর, প্রভিন্স ও দেশে করোনা প্রাদুভাবে প্রতিদিন অইসিইউ ও ভেন্টিলেশনে রোগীর লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। আমার জন্ম বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলা শহরে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে জ্যামিতিক হারে। প্রবাসী অদ্যোসিত মৌলভীবাজার জেলায় করোনা টেষ্টের কোন ব্যবস্থা নাই। সমগ্র সিলেট বিভাগে একমাত্র পিসিআর টেষ্টার হয়। গত রাতে নিউইয়র্ক থেকে এক ভাতিজা টেলিফোনে প্রশ্নকরে জানতে চাইল, করোনা পিসিআর টেষ্টের জন্য মৌলভীবাজার জেলার প্রবাসীর কি কোন উদ্দ্যোগ নিতে পারে না? বিষয়টি মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তখন থেকেই। ভাবছি আমাদের আর্ধেকের কম বয়সী (২৫/২৬) প্রবাসে জন্ম নেওয়া ছেলে নিজের দেশ ও এলাকার লোকজন, আত্নীয় স্বজনদের নিয়ে ভাবে, তাদের সাহায্য সহযোগীতার চিন্তা করে!
আমার জানা মতে, জেলার স্থানীয় সাংসদ পিসিআর টেষ্টের প্রয়জনীয় ব্যবস্থার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ (ডিওতে) জানিয়ছেন যাতে মন্ত্রী মহোদয়ও সুপারিশ করেছেন। সরকার পিসিআর মেশিন ও টেকনিশিয়ানের জন্য চেষ্টা করছে, যতসম্ভব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা হয়ে যাবে।ছেলেটার সাথে বেশ কিছুক্ষন আলাপ হলো। বার বারই জানতে চাচ্ছে কবে হবে করোনা পিসিআর টেষ্টের ব্যবস্থা ? সাথে সাথে আরও জানতে চাইল, দীর্ঘ দিনের দ্বাবী মৌলভীবাজারে একটি মেডিক্যাল কলেজের জন্য দেশী ও প্রবাসীদের আন্দোলনের পরও কিছু হয়েছে কি। বললাম, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী প্রতিটি জেলায় একটি মেডিক্যাল কলেজ স্খাপনের ঘোষনা অনুযায়ী মেডিক্যাল কলেজ হবে।আমি ছেলেটাকে যতকিছুই বলি না কেন মনে তাকে আশ্বস্থ করতে পারিনি। নিজেও তেমন স্বস্তিতে আছি তাও হলফ করে বলতে পারছি না। প্রবাসী অধ্যোসিত
মৌলভীবাজার জেলা ডাক্তারদের রোজী রোজগারের এক উর্বর ভুমি। সাপ্তান্তে শুক্র ও শনি বার মৌলভীবাজারে ডাক্তারদের হাট বসে। প্রতিটি ফার্মাছিতে বা চেম্বারে বিশেস্জ্ঞ ডাক্তার আর রাস্থায় রোগীর লাইন। যারা এই দুদিনে নিম্নতম ৫০ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা বেগে নিয়ে ঢাকা সহ অন্যান্য জেলায় চলে যান। সাপ্তাহিক বাকি পাঁচ দিন কেবল স্থনীয় এমবিবিএস আর ২৫০ শজ্জার হাসপাতালের ডাক্তাদের উপর সবাইকে নির্ভর করতে হয়। ঢাকা সহ বিভন্ন জেলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত বহিরাগত ডাক্তাদের দু’দিন মৌলভীবাজারে প্রেকটিসের কারনে স্থানীয় ভাবে উন্নত মানের তথা জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে উঠছে না।
মৌলভীবাজারে একটি মেডিক্যাল কলেজের দাবী দীর্ঘ দিনের তার কারন মুলত: *স্থানীয় গরীব জনসাধারণের বিনামুল্যে চিকিৎসা পাওয়া, *বিশেশ্জ্ঞ চিকিৎসক মৌলভবীজারে সার্বজনিন অবস্থা করে সেবা দেওয়া এবং *প্রবাসী ও বিত্তবানরা বিশেশ্জ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা পাওয়া(প্রাইভেট)। মৌলভীবাজারের ২৫০ শজ্জ্যর আধুনিক হাসপাতালের সাথে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা কেবল মাত্র স্বদীচছার প্রয়োজন। জনগনের প্রানের দাবীকে উপেক্ষা করা সরকার ও রাজনিতীবিদের জন্য শোভনীয় নয় সম্প্রতি মৌলভীবাজারে একটি টেক্সটাইল কলেজ নির্মাণে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। খুশীর সংবাদ, তারচেয়ে কয়েক হাজার গুন, লক্ষ গুন খুশীর হতো যদি একটি মেডিকেল কলেজের নির্মানের সংবাদ আসতো।
মৌলভীবাজার জেলার চারজন সাংসদই এ সরকারের ঘরনার। জেলার সাংসদের দায়ীত্ব নিজ সরকার তথা আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত চিন্তা করে জনগনের প্রানের দাবী বাস্থবায়ন করা। জেলার বৃহত্তর স্বার্থে নিজেদের কন্সটিটেনসি (সংসদীয় এলাকা)’র চিন্তা বাদদিয়ে জেলা সদরের কথা ভাবুন-নতুবা ভবিষ্যতে আমও হারাবেন ছালাও হারাবেন। যাহা সরকার ও আওয়ামী লীগ রাজনিতীবিদের জন্য শোভনীয় হবে না। আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনারা এক সাথে বসুন, ব্যাক্তিগত স্বত্ত্বার উর্দ্ধে উঠে? স্ব-স্ব গুন এ প্রজ্ঞায় জনগনের প্রানের দাবী মৌলভীবাজার মেডিকেল কলেজ বাস্থবায়ন করে মহিমান্বিত হউন।
প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল গফ্ফার সাজু,
সহ-সভাপতি, কানাডা আওয়ামী লীগ, কানাডা।
সদস্য ও কাউন্সিল সদস্য, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, আই,ই,বি(৮৫-৯৯) সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় বর্তমান চুয়েট ( ১৯৭৭-৮২)