বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত…।
…মকিস মনসুর
গৌরব ও অহংকারের ৭২ বছর উপমহাদেশের প্রাচীণতম ঐতিহ্যাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২৩ শে জুন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে এক ভ্যাচুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ এর সভাপতিত্বে এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এর পরিচালনায় অনুষ্টিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধুর প্রাক্তন রাজনৈতিক সচিব, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী ডাকসুর সাবেক ভিপি জননেতা তোফায়েল আহমদ এমপি, প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি. বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যু্গ্ম সাধারন সম্পাদক শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দিপু মণি এমপি. ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন.
উক্ত সভায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও বৃটেনের বিভিন্ন শহর থেকে বিশিষ্টজনেরা অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উনার অনেক অতীত স্মৃতি তুলে ধরে অনুষ্টানের প্রধান অতিথি
বক্তব্যে জননেতা তোফায়েল আহমেদ এমপি সহ সকল বক্তারা দেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। বক্তারা বলেছেন,
৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন, ৬৪-এর দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন ও ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপসহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ তথা সশস্ত্র জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের ফসল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। এবং দেশের বর্তমান উন্নয়নসহ সকল অর্জনই এসেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া বাংলার গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরে।
বক্তারা আর ও বলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয় ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ইতিহাস একই সূত্রে গাঁথা। আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশ! আওয়ামীলীগ মানেই বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলার মানচিত্র.; জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শুধু একটি নামই নয়, একটি মুক্তির পথ, একটি বিশ্বাসের নাম। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির পথ প্রদর্শক ও জাতির মুক্তির নায়ক। যতকাল ধরে পদ্মা-মেঘনা-গৌরী যমুনা মনু বহমান থাকবে, ততকাল বঙ্গবন্ধুর নাম বাঙালি জাতির অন্তরে লালিত হয়ে থাকবে চির অম্লান হয়ে।
২০০৮ সালে পুনরায় সরকার গঠন করে ‘ভিশন ২০২১’-এর আলোকে মধ্যম আয়ের সুখী-সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখান এবং ২০১৪ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ‘ভিশন ২০৪১’-এর আলোকে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জনের ধারাবাহিকতায় বাংলার জনগণ বিশ্বাস করে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
এ দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে সফলতার নতুন পথ দেখিয়েছেন,দেশের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ। মেট্রোরেল,কর্ণফুলী টানেল, পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সহ অসংখ্য মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
জিডিপির প্রবৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক সূচকে ‘উন্নয়ন বিস্ময়’ হিসেবে সত্যিকারার্থেই উত্থান ঘটেছে বাংলাদেশের। যে কারণে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে আন্তর্জাতিক বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ।