বিভীষিকাময় ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্টিত,।

মকিস মনসুর,
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগষ্ট একটি নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গত ২১ শে আগষ্ট ভার্চুয়াল আলোচনা সভা যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ৭১’এর বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ এর সভাপতিত্বে এবং
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এর পরিচালনায় অনুষ্টিত হয়েছে।
বৃটেনের বিভিন্ন শহর থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, সাহিত্যিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী, ও প্রধান আলোচক হিসাবে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক ও সেতু মন্ত্রী জননেতা ওবায়দুল কাদের এমপি,। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও বৃটেনের বিভিন্ন শহরের অংগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ ও ২১ আগষ্টে নিহত সকল শহীদানদের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন লন্ডনের ব্রিকলেন মসজিদের খতিব মাওলানা নজরুল ইসলাম। প্রধান আলোচক হিসাবে আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক ও সেতু মন্ত্রী জননেতা ওবায়দুল কাদের এমপি,বলেন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী জিয়া পরিবারই তখন ক্ষমতায় ছিল। ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান এ দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেন এবং খালেদা জিয়া তা অব্যাহত রাখে। ২০০৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে তার পুত্র তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আর ও বলেন বিএনপি গণমানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে অব্যাহত মিথ্যাচারের ডুগডুগি বাজিয়ে যাচ্ছেন। অপপ্রচারই তাদের একমাত্র হাতিয়ার।
এদেশে ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বিএনপি প্রমাণ করলো তাদের রাজনীতি প্রতিহিংসার রাজনীতি। প্রতিহিংসার রাজনীতির ধারক ও বাহক হচ্ছে বিএনপি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সাম্প্রদায়িক শক্তির নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বুদ্ধিজীবি লেখক, কলামিস্ট ও ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী’ গানটির রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘আজ ২১শে আগস্ট। ২০০৪ সালে এই দিনে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। আল্লাহর মেহেরবানীতে তিনি বেঁচে যান। আমরা হারাই বেগম আইভি রহমানসহ অনেককে যারা দেশের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। এই গ্রেনেড হামলা যারা করেছিলেন, তাদের প্রধান তারেক রহমান এখনও জীবিত, শাস্তির বাইরে, লন্ডনে পালিয়ে আছেন। বিভিন্ন সময় তাকে দেখা যায় তাদের বিএনপির ব্যানারে বক্তব্য বিবৃতি দেন। কিছু মিথ্যা কথা ছাড়া তার কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নেই’। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ জীবন কামনা করে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচক সহ ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভার শুরুতেই সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন। এখানে উল্লেখ্য যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যা করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা করা হয়। নিজেদের জীবন দিয়ে, মানব-ঢাল তৈরি করে রক্ষা করা হয় বাংলাদেশের প্রাণভোমরা শেখ হাসিনাকে; কিন্তু আইভি রহমান সহ আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হন।আজ বিভীষিকাময় সেই ২১ আগস্ট। নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। ১৭ বছর আগে ২০০৪ সালের এই দিনে (২১ আগস্ট) মুহুর্মুহু গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। মানুষের আর্তনাদ আর কাতর ছোটাছুটিতে সেখানে তৈরী হয় এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি।
এদিন আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী মিছিলপূর্ব সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা এবং গুলিবর্ষণ করে ঘাতকরা। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। আহন হন পাঁচ শতাধিক।
যাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। কেউ কেউ আজও ফিরে পাননি স্বাভাবিক জীবন। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের দুর্বিষহ যন্ত্রণা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন মৃত্যুর দিকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রকাশ্য দিবালোকে রাজনৈতিক সমাবেশে এ ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া বিরল। একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়াবহ সেই হামলা বাঙালি জাতি কোনোদিনও ভুলবে না।
গ্রেনেড হামলায় শহীদ সকলের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যারত্ন ম্যাদার অব ইউমিনিটি জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনি দীর্ঘাজীবি হন।