বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য আব্দুল জব্বারের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি,।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারে ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যারা আজীবন বাংলার গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছন, প্রয়াত নেতা আব্দুল জব্বার তাদের অন্যতম। আব্দুল জব্বার ছিলেন একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান ও অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
১৯৬২ এর শিক্ষা-আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ছয় দফা, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ২০২০ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্নেহধন্য আব্দুল জব্বারের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তিনি ছিলেন একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান ও অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের ১৮ জন সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যার পর আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এজন্য তাকে কারাবরণ ও অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত আব্দুল জব্বার ছিলেন একজন ব্যতিক্রমধর্মী রাজনীতিবিদ। মাটি ও অবহেলিত মানুষের সঙ্গে ছিল তার নিবিড় সম্পর্ক। তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ছিল বর্ণাঢ্যময় ও অহংকার করার মতো। তার ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা, দলের প্রতি আনুগত্য, নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা, কর্মীর প্রতি স্নেহ প্রবণতা ও দেশপ্রেম সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। নন্দিত জননেতা আব্দুল জব্বারের জীবনাদর্শ তরুণ রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
এদিকে, আব্দুল জব্বারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আব্দুল জব্বার ফাউন্ডেশন, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ইউকে বিডি টিভি ও পরিবারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- স্মরণসভা, ভার্চুয়ালি আলোচনা অনুষ্ঠান, মরহুমের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।