“বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ইউ কে বিডি টিভির “স্বাধীন বাংলার নতুন সূর্যালোকে” শীরনামে আন্তর্জাতিক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠান “।

বদরুল মনসুর,
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে বাংলাদেশ ও প্রবাসের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশিষ্টজনদের অংশগ্রহণের
মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১২ ই জানুয়ারি ইউকে বিডি টিভির “স্বাধীন বাংলার নতুন সূর্যালোকে” শীরনামে আন্তর্জাতিক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠান “ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অতিঘনিষ্ঠ আপনজন বাংলাদেশ যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, ১৪ দলের সমন্নয়ক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী জননেতা আমির হোসেন আমু এম পি,
ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান, সাবেক ছাত্রনেতা ও কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ইউকে বিডি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার খায়রুল আলম লিংকন,এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউকে বিডি টিভির সম্মানিত উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা
ড. নুরুন্নবী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি লিয়াকত আলী শিকদার,যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক সাবেক ক্রিকেটার নঈম উদ্দিন রিয়াজ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার একাটুনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ইউকে নিউপোট যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা শাহ শাফি কাদির, ও মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ ফয়ছল মনসুর,সহ অন্যান্য আলোচকবৃন্দ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিশু শিল্পী তানজিম বিন তাজ প্রত্যয়, কবিতা আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার মায়াবী হোসাইন নুপুর.ও কবি নিলরুবা খানম সুমি, সহ অন্যান্যরা,।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই দিনটি অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে এবং থাকবে.বলে উল্লেখ করে ১৪ দলের সমন্নয়ক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী জননেতা আমির হোসেন আমু এম পি, বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীতে একমাত্র ব্যক্তি যাকে ১৯৭২ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন বিট্রিশ প্রধানমন্ত্রী গাড়ির দরজা খুলে দিয়ে শুধু তাঁকে সম্মানিত করেনি পুরো বাঙালি জাতিকে সম্মানিত করেছিলেন। তিনি দেশে ফিরে দেশ পুনঃগঠনের কাজে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু অপশক্তিরা তাকে হত্যা করার মাধ্যমে অগ্রযাত্রাকে রুখে দেয়। তবে জননেত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা বিনির্মাণে মানণীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন আজ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১০ জানুয়ারি একদিনে আসেনি দীর্ঘ নয় মাস কঠিন সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আসে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধ করেছি। জাতির জনকের ভাষণ ছিলো আমাদের মূলমন্ত্র। এই ভাষণ আমাদেরকে উজ্জীবিত করতো। এখনো এই ভাষণ সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। দুর্ভাগ্য হলো বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরার সাড়ে তিনবছরের মাথায় তাঁকে হারাই। অপশক্তিরা ভেবেছিল আমরা আর উঠে দাঁড়াতে পারবো না। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করে দেশের হাল ধরেছিলেন। আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। জননেত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি। দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে অপশক্তিরা এখনো তৎপর। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদেরকে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো অপশক্তিই কিছু করতে পারবে না। তাছাড়া আওয়ামী লীগের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। ভালো কর্মী তৈরি হলে ভালো সংগঠন তৈরি হয়। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ২০৪১ সালে যে সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন দেখেছেন তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হলে সকল কর্মী ও নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান।