জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু “জন্ম যার সৃষ্টির জন্য।
*মকবুল তালুকদার
অভাবনীয় সন্মোহনী নেতৃত্বের অধিকারী জননেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জন্ম নিয়েছিলেন শোষিত বন্চিত বাঙালি জাতির অধিকার এবং সর্বপরি তাঁদের জন্য একটি স্বতন্ত্র আবাস ভূমি সৃষ্টির লক্ষ্যে।
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্ম বার্ষিকী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন বিশ্ব সন্মোহনী নেতৃত্বকে নিয়ে তাঁর জন্ম দিনে কি লিখবো? কোথা থেকে শুরু করবো, কিম্বা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখার মতো যোগ্যতা আমার আছে কিনা? এই ভেবেই গলদগর্ম হয়ে পড়েছি। আদর্শিক পিতা বঙ্গবন্ধু নিজের জন্মদিন নিয়ে খুব একটা ভাবতেন না। তিনি ভাবতেন জাতি হিসাবে বাঙালি জাতি গোষ্ঠির স্বীকৃতি এবং তাদের সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং ভৌগলিক মুক্তির কথা।তাইতো তিনি তাঁর জন্ম দিনকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষনা করেছিলেন এবং তাদের মধ্য থেকে স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশের আগত নেতৃত্ব সৃষ্টির স্বপ্ন দেখেছিলেন। ইতিহাসবিদগন বলে থাকেন, “বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতোনা”। তাঁদের সাথে সুর মিলিয়ে আমিও বলতে চাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র জন্ম হয়েছিল মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় এবং বাঙালি জাতির জন্য একটি শোষন বন্চনা মুক্ত স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ সাবেক ফরিদপুর জেলা ও বর্তমানে গোপালগন্জ জেলার টঙ্গীপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সায়েরা খাতুনের ঘরে জন্ম গ্রহন করেন।দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। ১৯২৭ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ৭ বছর বয়সে স্হানীয় গিমাডাঙা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভর্তি হয়ে লেখাপড়া শুরু করেন।৯ বছর বয়সে তিনি গোপালগন্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন।পরে ১৯৩৪ সালে তিনি মিশনারী স্কুলে লেখা পড়া করেন।১৯৪২ সালে তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে কলিকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন এবং বেকার হোষ্টেলে আবাসিক ছাএ হিসেবে বসবাস করেন। অতপর ১৯৪৪ সালে আইএ এবং ১৯৪৭ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন; কিন্তু ১৯৪৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের আন্দালনে সমর্থন ও নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত হন এবং লেখা পড়ার পরিসমাপ্তি ঘটে।
১৭ মার্চ’ ১৯২০ সালে জাতির পিতা শেখ মুজিবের জন্ম এবং ২৩ জুন ১৯৪৯ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা একটি অন্যটির সম্পুরক। মোট কথায় বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আওয়ামী লীগের মতো বিশাল সংগঠনের জন্ম হতো না, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিশাল কর্মী বাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টা ও অকুন্ঠ সমর্থনেই টংগী পাড়ার শেখ লুৎফর রহমানের প্রিয় খোকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়েছেন।
বিশ্ব রাজনীতির কিংবদন্তি নেতা বাংলা ও বাঙালির অমর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করার আগে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের দু:খ দুরদশা দেখে দারুন ভাবে ব্যথিত হতেন এবং ভুখাদের মুখে তাঁর নিজের খাবার তুলে দিতেন। এমন ঘটনা তাঁর জীবনে বিরল নয়; শীতকাল এলে শীতার্তকে তিনি তাঁর নিজের গায়ের চাদর/ জামা কাপড় দান করতেন।ছোট কাল থেকে তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন এবং ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন।অন্যায়কারী যতই শক্তিশালী হোক না কেন, বঙ্গবন্ধু তার বিরুদ্ধে কথা বলতে বিন্দু মাএ দ্বিধা করতেন না।
ছাএাবস্হা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের সূএপাত ঘটে।তাঁর রাজনৈতিক এবং পুর্ববাংলার স্বাধীনতার জন্য উল্লেখ যোগ্য অবদান সমুহ:~
রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা:
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসান এবং পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বাঙালি জাতির উপর পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার, নির্যাতন ও দুঃশাসনে নিষ্পেষিত বাংলার জনগণের মুক্তি এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার ঐতিহাসিক ‘রোজ গার্ডেন’ প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাংগঠনিক তৎপড়তায় জননেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনুসারি মুসলিম লীগের প্রগতিশীল কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের আত্মপ্রকাশ ঘটে এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, শোষণমুক্ত গনতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দর্শনের ভিত্তি রচনা করতে ১৯৫৫ সালে জাতীয় কাউন্সিলে অসাম্প্রদায়িক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে সংগঠনটির নাম পরিমার্জন করে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে রাখা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’। আওয়ামী লীগ শুধু এ দেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলই নয়; স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। উল্লেখ্য যে জন্ম লগ্ন থেকে নব্য ঔপনিবেশিক পাকি হায়েনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম এবং আজ অবধি স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে নিরন্তন প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনগনের “ভোট-ভাতের অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তিসহ স্বাধীনতার স্বপ্ন স্বাধ ঘরে ঘরে পৌছে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ নিরন্তর কাজ করে চলেছে।
ভাষা আন্দোলন: দ্বিজাতি তত্বের মিথ্যা দর্শনে ব্রিটিশ ভারত বিভক্ত হয়ে তথাকথিত পাকিস্হান প্রতিষ্ঠার অব্যহতি পরই বুঝা গিয়েছিল পাকিস্হান নামক রাষ্ট্রটি বাঙালীদের জন্য নয়? বিষয়টি আরো পরিস্কার হয়েছিল জিন্নাহ কর্তৃক “Urdu and urdu shall be the state languge of Pakistan” শীর্ষক ঘোষনার মধ্যে দিয়ে।বাঙালী জাতির এই ক্রান্তি লগ্নে জিন্নাহ’র সভাতেই “মানি না, মানবো না” প্রতিবাদের মাধ্যমে বীরদর্পে বজ্রকন্ঠের মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতির নির্ভরযোগ্য নেতা হিসাবে আবির্ভূত হন।প্রথমেই জাতীয় রাজনীতির চালিকা শক্তি হিসাবে এবং পশ্চিমা শোষকদেরকে দাঁত ভাঙা জবাব দেয়ার উদ্দ্যেশেই বঙ্গবন্ধু “ছাএলীগ” প্রতিষ্ঠা করে জেলাভ্যন্তরে থেকে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ৫২’র ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদান করেন।
মুক্তি সনদ ৬ দফা এবং স্বাধীনতা:
১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক দুরদর্শিতা এবং নেতৃত্বে পুর্ব বাংলার স্বাধীনতার রূপরেখা তথা ৬ দফা দাবী পেশ করে পুর্ব বাংলার আপামর জনসাধারনকে স্বাধীকার আন্দালনে উদ্বুদ্ধ করেন।
১৯৬৯ সালে গন-অভ্যুথানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি দানে পাকি সরকারকে বাধ্য করে এবং কারাগার থেকে মুক্ত করে এনে বঙ্গবন্ধু” উপাধিতে ভূষিত করে।বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালে সাধারন নির্বাচনে জয়ী হয়ে পাকিস্হানী স্বৈর-শাসকদেরকে জানান দেওয়া হয় “বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগ বাংলার সাড়ে শাত কোটি গন মানুষের একমাএ রাজনৈতিক দল”। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর পাকিস্হানী হায়েনারা ক্ষমতা হস্তান্তরে তাল বাহানা শুরু করলে ৭ মার্চ’ ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু পুর্ব বাংলার স্বাধীনতার জন্য বজ্র কন্ঠে ঘোষনা করেন; “এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম; এ বারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবং একই সাথে তিনি নির্দেশে দিয়েছিলেন “তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে; তিনি দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষনা করেছিলেন; মনে রাখবা; রক্ত যখন দিয়েছি; রক্ত আরো দিবো, বাংলার মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনসাল্লাহ”। অতপর ২৫ মার্চ’১৯৭১ এর কালো রাতে পাকিস্হানী হায়েনারা স্বাধীনতাকামী বাঙালী নিধনে হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনা দেন এবং তাঁর নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রবাসী সরকার গঠন করে শুরু হয় মুক্তি যুদ্ধ এবং নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এিশ লক্ষ বীর বাঙালীর তাজা রক্ত এবং আড়াই লক্ষ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীন হয় সার্বভৌম বাংলাদেশ।
জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম অবদান সমুহ:
১২ জানুয়ারী’ ১৯৭২ যুদ্ধ বিধস্হ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরের প্রত্যাশা নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ গড়ায় আত্মনিয়োগ করেন। প্রথমেই তিনি পাকি হায়েনাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র গোলা বারুদ সংগ্রহে এনে আইন শৃংখলা পরিস্হিতির অভূতপুর্ব উন্নয়ন ঘটান। অতপর পর্যায়ক্রমে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ঝুকি সত্ত্বেও ১,৬৫,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকুরী সরকারি করন সহ তাদের জন্য চাল ডাল সহ পুর্নাঙ্গ রেশন ব্যবস্হা চালু করেন। পন্চম শ্রেনী পর্যন্ত বিনা মূল্যে বই খাতা এবং পোষাক প্রদানের ব্যবস্হা করেন।১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় সমুহকে পুর্নাঙ্গ স্বায়ত্ব শাসন প্রদান করেন।মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্ট গঠন, হকাকদের জন্য হকার্স মার্কেট প্রতিষ্ঠা করন, ২৫ বিঘা পর্যন্ত খাজনা মওকুব, পাকি হায়েনাদের দ্বারা বিধ্বস্ত ব্রিজ কালভার্ট মেরামত/পুনর্নির্মান, বিনষ্ট/বিধ্বস্ত কলকারখানা পুন:নির্মান/মেরামত করন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনা মূল্য কীট নাশক বিতরন, শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কাউন্সিল, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড,বিশ্ব ইস্তেমার জন্য জমি বরাদ্ধ করন, রেডিও টিভিতে কোরান তেলাওয়াতের ব্যবস্হা করন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে এনে তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্হা গ্রহন এবং সর্বপরি অতি দ্রুততম সময়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের একটি গনতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করে জাতিকে উপহার প্রদান করেন।
স্বাধীনতাওর ট্রেজেডি:
মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন-পুনর্বাসন সম্পন্ন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে মুহূর্তে সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের একটি শক্তিশালী ভিত রচনা ও এর সার্বিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করলেন, ঠিক তখনই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত দেশি-বিদেশী চক্রের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে সংঘটিত হয় বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক ১৫ই আগস্টের ট্র্যাজেডি। নির্মম ভাবে স্বপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।এরপর মোশতাক-জিয়া-এরশাদ-বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত যুদ্ধাপরাধী মানবতা বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি পাকি হায়েনাদের পরামর্শে লক্ষ শহীদের রক্তস্নাত বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক ধারার রাজনীতির পুনঃপ্রত্যাবর্তন ঘটে এবং বাংলাদেশ পরিণত হয় ‘মিনি পাকিস্তানে’।
বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তাঁর মৃত্যু নেই। তিনি চিরঞ্জীব। তিনি একটি জাতিস্বত্বার স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি। তাই যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যত দিন থাকবে পদ্মা মেঘনা যমুনা, ততদিন বঙ্গবন্ধু অমর হয়ে থাকবেন।সমগ্র জাতিকে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরোপক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং গনতন্ত্রের মহান আদর্শে অনুপ্রানীত করে ঔপনিবেশিক শাসক-শোষক পাকি হায়েনাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন। তাই তিনি চিরঞ্জীব থাকবেন বাঙালি জাতির চেতনায়।
উপসংহার: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্ম বার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার স্মৃতির প্রতি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে আমাদের অংগীকার হলো~
“সোনার বাংলা গড়বো পিতা
কথা দিলাম তোমায়
চেতনা থেকে বিচ্যুত হবো না
গ্রেনেড কিংম্বা বোমায়”
* যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কৃষিবিদ
* নিউইয়র্ক, আমেরিকা।
*