প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল।
– মে. জে. (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদার
দেশে ধর্মবাদী ও মৌলবাদী রাজনীতি থেকে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে। মানুষ জঙ্গিবাদ নিয়ে খবুই উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কের মধ্যে ছিলো। ভেবেছিলো বাংলাদেশও আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তানের মতো হয়ে যাবে। এসব কিছুর অবসান ঘটিয়েছেন দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালে হলি আর্টিজানের পর জঙ্গিরা দেশে এরকম অনেক বড় বড় কর্মকাণ্ড ঘটানোর চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কাছে তাতে জঙ্গিরা মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিদের সব পরিকল্পনাগুলো ভেস্তে দিয়েছে। ইউরোপ, আমেরিকার সঙ্গে তুলনা করলে, বর্তমান দেশে জঙ্গি তৎপরতা নেই বললেই চলে। তবে বাংলাদেশের মধ্যপ্রাচ্যের আইএস বা আল-কায়েদার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে, এ ধরনের প্রচারণা ছড়িয়েছিলো কিছু মহল। তবে অন্যান্যে দেশে জঙ্গি তৎপরতা চললেও দেশে এর ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি।
বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার মূল জায়গা হলো ধর্মীয় রাজনীতি। সেই রাজনীতি এখনো বহাল রয়েছে। এমনকি যারা কাজ করেছে তারাও বহাল রয়েছে। তবে বিগত ৫ বছরে বাংলাদেশে জঙ্গিরা কোনো ধরনের তৎপরতা চালাতে পারেনি। যা বিশে^র মানুষের দৃষ্টি আর্কষণ করেছে। সারা বিশ্ব থেকে স্বীকৃতি এসেছে, বাংলাদেশে এরকম রাজনৈতিক পেক্ষাপটের মধ্যেও শেখ হাসিনা কৌশলগতভাবে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে সাথে নিয়ে এ ভয়াবহ পরিস্থিতি সাহসিকতা এবং বীরত্বের সঙ্গে সমাধান করেছেন। ফলে জঙ্গিরা কোনো ধরনের তৎপরতা চালাতে পারেনি। ফলে বাংলাদেশ একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। যা দেশের জন্য একটি সফলতা বয়ে নিয়ে এসেছে।
দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার কারণে সম্পন্ন হয়েছে। এটি নির্মূল না হলে হয়তো দেশ রসাতলে যেতো। তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক এবং রাজনৈতিক ‘টার্গেট কিলিং’ বন্ধসহ অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে সব কিছু মোকাবেলা করেছেন। মূলত বাংলাদেশে আইএস বা আল-কায়দা কোনো কিছু নেই। জঙ্গিদমন করতে একমাত্র আমরাই সফল হয়েছি, সেটি একমাত্র শেখ হাসিনাই প্রমাণ করেছেন।
বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করছেন সকল শ্রেণি পেশার মানুষ, ধর্মীয়, রাজনৈতিক অঙ্গণ, বুদ্ধিজীবী মহল, টকশো, কলাম লেখরোও। সকল ক্ষেত্রে তার জয়জয়কার। মূলত শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশের মানুষ শক্তিশালী হয়েছে। দেশের মানুষের সমর্থন নিয়ে তিনি এ সফলতা অর্জন করেছেন। দেশকে পরাশক্তির হাত থেকে রক্ষা করে, মর্যাদা অক্ষন্ন রেখেছেন।