কমলগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণ, থানায় জিডি

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে ওলিউর রহমান (২২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে মারধোরের পর অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। সে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক গ্রামের আরজান আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ১৪ অক্টোবর বিকেলে শমশেরনগর বাজারের ইসলামিক মিশন এলাকায়।
ওলিউরের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত চারদিন আগে গ্রামীণ ফোনের টাওয়ার বসানোর কথা বলে ওলিউরের বাড়িতে যান দুই সদস্যের অপরিচিত একটি দল। পরবর্তীতে শনিবার ১৪ অক্টোবর সকালে ওই দুই ব্যক্তি তার বাড়িতে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা বলে ওলিউর রহমান ও তার চাচাতো ভাই মাওলানা হাবিবুর রহমানকে নিয়ে আসতে চাইলে তারা আসেনি।
পরে শমশেরনগর বাজারে এসে দেখা করবে। এরপর শনিবার বিকাল ৩ টায় ওলিউরের নাম্বারে ফোন করে শমশেরনগর-কুলাউড়া সড়কের ইসলামিক মিশন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর পরই পাঁচ, ছয় জনের একটি দল তাকে মারধোর করে প্রাইভেট গাড়িতে তুলতে চাইলে ওলিউর ধস্তাধস্তি করে।
এই সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে পরিচয় জানতে চাইলে অপহরণকারীরা র্যাব পরিচয় দিয়ে পিস্তল দেখিয়ে দ্রুত ওলিউরকে গাড়িতে তুলে দু’টি প্রাইভেট গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজন অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতেই ওলিউরের বাবা আরজান আলী কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। ওলিউর মৌলভীবাজার কালিয়ারগাঁও মাদ্রাসার টাইটেল উত্তীর্ণ ছাত্র।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, ওলিউরের বিষয়ে শ্রীমঙ্গল র্যাব অফিসসহ সকল স্থানে খোঁজ নিয়েছি। কেউ তাকে নেয়ার কথা স্বীকার করেননি।
অভিযোগ বিষয়ে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কাশি শর্ম্মা বলেন, জিডির বিষয়ে তদন্ত চলছে। র্যাব অফিস, কাউন্টার টেররিজম অফিসসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছে। কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাকে উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে।