মৌলভীবাজার মৎস্যজীবী ইউনিয়নের স্মারকলিপি | পাতাকুঁডির দেশ

নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণাকালীন সময়ে মৎস্যজীবীদের জন্য খাদ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের দাবিতে মৌলভীবাজার মৎস্যজীবী ইউনিয়ন (মৌল-৫২) এর পক্ষে থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ২২ অক্টোবার রবিবার বিকেলে মৌলভীবাজার মৎস্যজীবী ইউনিয়ন (মৌল-৫২) এর সভাপতি এডভোকেট মঈনুর রহমান মগনু এবং সাধারণ সম্পাদক মো: মনজব আলীর নেতৃত্বে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসককে মৎস্যজীবীদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট আবুল হাসান, মৎস্যজীবী ইউনিয়ন (মৌল-৫২) এর সহ-সভাপতি মো: মিয়াধন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, দপ্তর সম্পাদক বিশ্বজিৎ নন্দী, সদস্য হৃদয় অধিকারীসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। ইলিশ মাছের প্রধান প্রজনন মৌসুম উল্লেখপূর্বক সরকার ঘোষিত ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩’ পরিচালিত হচ্ছে। চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ২ নভেম্বর পর্যন্ত বাইশ দিনব্যাপী সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও আইনত দন্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে এই অভিযান চলছে। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কুশিয়ারা নদীতে মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহকারী জেলেরা কুশিয়ারায় নেমে মাছ ধরতে পারছেন না। জেলে পেশায় নিয়োজিত দরিদ্র জনসাধারণ পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুর্দশাগ্রস্ত জীবনযাপন করছেন। চরম খাদ্য,অর্থ সহ সামগ্রিক সংকট ও অভাবে জেলে ও তার পরিবার। প্রয়োজন ছিলো মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণার সাথে সাথে সরকারিভাবে জেলেদের মধ্যে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ, খাদ্য ইত্যাদি সহায়তা পূর্বেই প্রদান করা। কিন্তু সরকারিভাবে মৌলভীবাজারের জেলেদের জন্য এমন উদ্যোগ করা হয় নি।স্মারকলিপিতে প্রদত্ত দাবি সমূহ হলো মৎস্য আহরণ বন্ধ ঘোষণাকালীন সময়ে পর্যাপ্ত খাদ্য অর্থ সহ সকল প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান। মৎস্যজীবীদের জন্য রেশনিং, ফ্রী চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং বয়স্ক ভাতা প্রদান করা। মৎস্যজীবীদের সন্তানদের শিক্ষার সামগ্রিক ব্যয় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বহন করা।