কুলাউড়ার মাওলানা ফয়জুল ইসলাম বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ইমাম

কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন হযরত মাওলানা শেখ ফয়জুল ইসলাম সিদ্দিকী ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সারা বাংলাদেশে শ্রেষ্ঠ ইমাম প্রতিযোগিতায় সারা বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জামেয়া ইসলামীয়া নুরে হেরা ভাটেরা কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম ও তুলাপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধিনে পরিচালিত শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচন ও বাছাই পরিক্ষা জেলা এবং সিলেট বিভাগ উত্তীর্ণ হওয়ার পর বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের নির্বাচিত ২৪ জন ইমামের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় শ্রেষ্ঠ ইমাম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশের তিন জনের মধ্যে ২য় স্থান অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, মাওলানা ফয়জুল ইসলাম সিদ্দিকী ১৯৭৫ সালের ১ জানুয়ারী তৎকালীন বরমচাল ইউনিয়নের রাউৎগাঁও চক খামাউড়া গ্রামে এক মুসলিম সম্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা পল্লী চিকিৎসক মাওলানা মরহুম শেখ মুছলিম মিয়া সিদ্দিকী ও মাতা মরহুমা হাওয়ারুন নেছা। পরিবারে পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সর্ব কনিষ্ঠ। মক্তব ও প্রাথমিক প্রাইমারী শিক্ষা শশারকান্দী দাস বাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার পিতা শেখ মুছলিম মিয়া সিদ্দিকী’র কাছ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করেন। তুলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত সমাপ্তি করে জামেয়া মুজাহিরুস সুন্নাহ বের্ত্রীকুল দনারামে ভর্তি হয়ে সাত্তব পাঞ্জাম কাফিয়া সরেজামী মেশকাত পর্যন্ত সমাপ্তি করেন। পরর্বতীতে ঐতিহ্যবাহী দিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া নুরানিয়া ইসলামীয়া ভার্থখলা সিলেট থেকে দাওরায়ে তাকমিল ফিল হাদিস (দাওরায়ে হাদিস) সিলেটের বিশিষ্ট বুজুর্গ শায়খুল হাদীস আল্লামা নুর উদ্দিন আহমদ গহরপুরী (রহঃ) এর নিকট হতে সনদ লাভ করেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে ২০০১ সালে সিলেটের রায় নগর দর্জীপাড়া ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ইমাম প্রশিক্ষণের সাথে রিফ্রেসার্স কোর্স, মানব সম্পদ উন্নয়ন, এইস প্রতিরোধ প্রাথমিক চিকিৎসা সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ নেন। তিনি একজন প্রচারবিমুখ মেধাবী আলেম, দ্বীনের একজন নিবেদিত খাদেম। উনার এ অর্জন ভাটেরা তথা সিলেট বিভাগের মানুষকে আনন্দিত হয়েছেন। এই জনপদের জন্য তিনি এক বিরল সম্মান বয়ে এনেছেন যা ইতোপূর্বে আর এই এলাকায় আসেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হিসেবে নির্বাচিত ৩ ইমামের মধ্যে তিনি ২য় হয়েছেন যার স্বীকৃতির স্মারক ৩ বছর পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চীন- মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র পূর্বাচল রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ থেকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি, ধমর্ সচিব আব্দুল হামিদ জম্মাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালক, আনিসুজ্জামান সিকদার, সহ পরিচালক মাওঃ জাকির হোসেন এর কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন।